pages

pages for foreigner

শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০

৫টি কাজ করে হীনমন্যতা বা মানসিক অসান্তি থেকে বাচুন।

হীনমন্যতার পরিবর্তে মানসিক ভাবে শক্তিশালী হন Overcome low self esteem:

অনলাইনে বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক সাইট গুলোতে প্রায়ই অনেকে অজ্ঞাত নামে ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বেড়ান।



প্রতিটি মানুষের কাছে তার নিজের জীবনটা অনেক বেশি মূল্যবান। তাই তাদের বেক্তিগত সমস্যাকেই সবচেয়ে বড় বলে মনে হয়।
যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে আপনি ভুলে যান আর মেনেই নেন যে, এ পৃথিবীতে আপনি একাই এইরুপ কষ্টদায়ক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

তবে বাস্তবতা হোলও, এক এক জন মানুষের জীবন সংগ্রাম একেক রকম হয়। কারো পরিস্থিতির সাথে অন্য কারো পরিস্থিতি তুলনা করে বিচার করা যাবে না।
যেহেতু আপনার সমস্যাটি ব্যক্তিগত আর আপনি আপনার পরিচিত কাছের কোনও মানুষের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে লজ্জাবোধ করছেন। তাই, একটি উপায় রয়েছে, যেটা আপনাকে আপনার কষ্ট ভুলিয়ে দিতে পারে।

আপনার সমর্থক হন আপনি নিজেইঃ 

আপনি হীনমন্যতা বা মানসিক অসান্তি এই পরিস্থিতে নিজেকে ২ টি স্বত্বায় বিভক্ত করে ফেলুন। অর্থাৎ, আপনি নিজেকেই আপনার কথা গুলো বলুন!

কিভাবে?



আপনি একটি বেক্তিগত ডায়রি ব্যবহার করুন। সেখানে আপনি আপনার সমস্ত অভিযোগ গুলো লিপিবদ্ধ করবেন। এই অভ্যাস আপনার কষ্ট অনেকখানি কমিয়ে দিবে। কারণ আপনার মন একজন সাপোর্ট দানকারী বন্ধু চাচ্ছে, আর সেটা আপনি নিজেই!

মজার বিষয় হোলও, আপনার লিখা গুলো যদি আপনি কিছুদিন পর পড়েন, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেকেই অতিরঞ্জক বা কিঞ্চিৎ অপরাধী বলে মনে হতে পারে।

ক্ষমা করুন আর অতিরিক্ত চিন্তা থেকে দূরে থাকুনঃ 

কারো অনৈতিক বা অসদাচারনে মানসিক কষ্টে থাকলে, তাকে ক্ষমা করুন।
যদিও এটা সহজ নয়, তবুও এতে আপনারই উপকার হবে।

কারণ, হয়তো আপনাকে কষ্ট দিয়ে তার মনে সামান্যতম অনুশোচনা নাও থাকতে পারে, অথচ আপনার সাথে অন্যায় হওয়ার পর ঘৃণা আর রাগ ধরে রেখে আপনিই কষ্টের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন। আপনাকে তার সেই যন্ত্রণাদায়ক ঘটনা নিয়ে পরে থাকতে হবে না। আপনার জীবনে সামনে আরও অনেক সুন্দর দিছু উপহার রয়েছে। আপনি এর উপযুক্ত।



সময় আলাদা করে নিজেকে চিনুনঃ

 প্রথমে আপনার যা প্রয়োজন তা হোলও সামান্য একটু সময়। আর সেটা অন্য কারো জন্য নয়। আপনার মনকেই তার মতো করে ভাবতে দেয়ার জন্য, মনের মধ্যে কি চলছে তা খেয়াল করার জন্য সামান্য একটু সময়। 



মনকে শান্ত করার এই পদ্ধতিতে সবচেয়ে বড় বিষয় যেটি, আপনি লক্ষ্য করবেন তা হোলও, নেশাকর আসক্তির পরিবর্তে নির্জনে মনকে স্থির হতে বা ভাবতে দিলে নিজেকে খুব ভালো করে চিনতে পারবেন। আপনার মানসিকতা, পছন্দ, ইচ্ছা- অনিচ্ছা গুলো খুব সহজেই দেখতে পাবেন।  


আপনার সমস্যাটা যেমনি একদিনেই, জটিল হয়ে যায়নি, তেমনি একনিমেসেই সব কিছু বদলে স্বাভাবিক করে ফেলার আশা করাও ঠিক নয়। তবে, বিশ্বাস করুন উপর্যুক্ত অভ্যাসটি অনুসরণ করলে খুব অল্প সময়ের মদ্ধেই আপনি সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে যাবেন। আর স্বাভাবিক হবার চেষ্টার প্রতিটি মুহূর্তে প্রশান্তি অনুভব করবেন। 

কুরআনের অনুবাদ বুঝুনঃ 
পবিত্র কুরআনের অনুবাদ পড়ুন আর বুঝার চেষ্টা করুন সৃষ্টিকর্তা আপনাকে কি বলছেন। আপনি এটা করলে সৃষ্টিকর্তাকে কিছুটা চিনতে পারবেন, আর অবাক হয়ে যাবেন। 


আপনি যে ধর্ম বিশ্বাসের অনুসারী-ই হন না কেনও এটা আপনার জন্য অনেক উপকারী একটি অভ্যাস হবে এবং বিশ্বাস করুন এর চেয়ে আর অন্য কিছুতে এমন মানসিক প্রশান্তি পাবেন না।  



মনের কথার সাথে বিশ্বাসের সম্পর্ক রাখুনঃ 

নিজেকে নিয়ে আপনার মনের কথা আপনার বিশ্বাসের সাথে মিসে যায়, আর আপনার বাস্তবতায় পরিণত হয়। আপনার জীবন সম্পর্কে নিজেকে যা বলবেন, তা-ই আপনার জীবনে বাস্তবে পরিণত হবে।
যদি এ ধরণের চিন্তায় আকটে জান যে, এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর পথ আপান্র নেই, আপনি ঐ জিনিস গুলো কখনও পাবেন না। তাহলে কখনও আপনার মানসিক উন্নয়ন হবে না।
আমার জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলো ফুঁড়িয়ে গেছে যা শুধু অতিতেই ছিলও। এটা বলার পরিবর্তে বলুন, আমার জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলো এখনও সামনে।
আমি ব্যর্থ হয়েছি। এর পরিবর্তে বলুন, আমি ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছি, আর যখন, সাফল্যের শিখরে থাকবো, তখন ব্যর্থতা শুধুমাত্র নরকের কাহিনীতে পরিণত হবে।
অন্য সবাই সৌভাগ্য আর বিশেষ উপহার নিয়ে জন্মায়। এটা বলার পরিবর্তে বিশ্বাস করুন যে, আপনি যে কোনও কিছু পেতে সক্ষম।
বিশ্বাসের সাথে বলুন, আমি যে কোনও কিছু করতে সক্ষম। আমি প্রতিদিন আরও উন্নতি করছি।
আমি নিজের প্রতি দায়বদ্ধ এবং দৃঢ় সংকল্প। আমার কোনও সিমাবদ্ধতা নেই।
আমি যেমন স্বাস্থ্য পছন্দ করি তা অর্জনও করতে পারি।
আমি যেমন সম্পদ পছন্দ করি তাও অর্জন করতে পারি।
আমি অন্যের জীবনেও পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
বস্তুত মানুষ কখনও ব্যর্থ হয় না, সে শুধু একটি পর্যায়ে এসে হার মেনে নেয়। আলিবাবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, চীনা বিলিওনার জ্যাক ম্যা বলেছিলেন,



"হার মেন না, আজকের দিনটা কঠিন, কাল হবে অন্ধকার; কিন্তু তারপর সূর্যকে উঠতেই হবে।"

তাই হতাশ হবেন নাঃ

"হতাশাকে জয় করতে আপনাকে বাঁধা বিপত্তির পরিবর্তে কাজের ফলাফলের দিকে নজর দিতে হবে।"                                                                     
                                                                              _____ টি এফ হজ, প্রতিবন্ধীত্বকে জয় করা লেখক।



বিশ্বাস ও কথাকে সম্মিলিত করতে পারবেন, তা এতটাই শক্তিশালী হয় যে এর মাধ্যমে পাহাড়ও টলানো সম্ভব।
আপনি আপনার ভবিষ্যতের স্রষ্টা। এটা শুরু হয় ঐ কথাগুলোর মধ্য দিয়ে যা আপনি নিজের জীবনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন।

আপনি যদি বিশ্বাস-ই না করেন, তবে কখনও সেই জিনিস পাবার চেষ্টাও করবেন না।


কষ্টদায়ক মুহূর্ত নিয়ে বিষদ ভাবতে বসবেন না। মনে রাখবেন, মনসিক অসুস্থতার মারাত্মক প্রভাব রয়েছে শরীরের ওপরেও। প্রতিদিন আপনার বিশ্বাসকে দৃঢ় করুন। আর সেই বিশ্বাসের ওপর এতটাই বিশ্বাস রাখুন যেন তার বাস্তবতায় আপনি আছেন, আর তা অনুভব করছেন।

মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার কিছু উপায় ঃ --->  মানসিক চাপ, অশান্তি থেকে বাচার ও মনকে শান্ত করার ৪ টি উপায়।

----->  বুদ্ধিমান বা বিচক্ষণ হবার উপায়

শারীরিক অসুস্থতা কাটানোর ও সুস্থ থাকার উপায়ঃ----->   আপনি কেন অসুস্থ হন জানেন কি? কোনও কিছুতে নয়, ৩টি কাজে সুস্থ হন আপন শক্তিতে




শেষ কথা,
হীনমন্যতায় থাকবেন না। পৃথিবীকে এখনও অনেক কিছু দেয়ার আর দেখার আছে।
মানসিক ভাবে সুস্থ থাকুন।
অন্যকেও এতে সহযোগিতা করুন।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please, do not enter any spam link in the comment box.

Featured Post

৪টি কাজে মন হবে শান্ত, কোনও আসক্তির মাধ্যমে নয়।

আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম করুণায় আপনি সম্পূর্ণ ভালোই আছেন।  আজকের বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক।  আপনি অবশ্যই কোনও না কোনও ডিভাইস যেমন স্মার্ট...

Popular Posts