pages

pages for foreigner

রবিবার, ২১ জুন, ২০২০

আপনি কেন অসুস্থ হন জানেন কি? কোনও কিছুতে নয়, ৩টি কাজে সুস্থ হন আপন শক্তিতে।

আসসালামু আলাইকুম,

আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।

পৃথিবীতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটা খুবই জরুরী। কে ই বা চায় অসুস্থ হতে বলুন? সুস্থতা যেমন একটি নেয়ামত, তেমনি অসুস্থতাও একটি নেয়ামত, আর আপনার জন্য একটি সুযোগ ও হুঁশিয়ারি।

অসুস্থতাকেও নেয়ামত বলার কারণ হোলও, এই পৃথিবীতে সবকিছুই সীমিত তাই সুস্থ থাকার যে প্রাকৃতিক শক্তি আপনার মধ্যে আছে তাও কিন্তু অসীম নয়, একদিন এই শক্তি আর আগের মতো থাকবে না।
তবে আশাহত হবেন না। কারণ অসুস্থতার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারেন কোন কারণে অসুস্থতা অনুভূত হয়, আর কিভাবে চেষ্টা করা যায় সুস্থ থাকার। যাতে আগের মতো সুস্থ-স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করা যায় আর নিজের করা ভূলের কারণে পুণরায় অসুস্থ না হন। 
পরিপাটি আর সুন্দর থাকার চেয়ে অধিক জরুরী হোলও সুস্থ থাকা, একজন অসুস্থ বেক্তিই তা ভালো বুঝতে পারেন।

তাই আজকে আমি আপনাকে কতগুলো সাধারণ বিষয় মেনে চলার কথা বলতে যাচ্ছি,





যেগুলো মনে রাখলে আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন ইনশা আল্লাহ্‌ , অথবা সুস্থ থাকলে সচেতন থাকতে পারবেন যাতে ভবিষ্যতে অসুস্থ হয়ে না যান। 

প্রথমত,
 খাওয়ার ব্যাপারে সচেতনতা ঃ

১। সুস্থ থাকতে হলে, যে খাবার গুলো খেলে আপনার কম বেশি সমস্যা হয় আর যেরকম সমস্যা হয়, তার একটি     তালিকা তৈরি করুন। 
 মনে রাখবেন, খাবার যদি বিসুদ্ধ হয় অর্থাৎ, এতে কোনও রাসায়নিক যুক্ত না থাকে, তবে সমস্যা কিন্তু খাবারের নয়, আপনার। 

২। অনেকের ক্ষেত্রে ঐ খাবার গুলো কিছুদিনের জন্য ( সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ) এড়িয়ে চললেই হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ঐ একই খাবার একটু অন্যভাবে প্রক্রিয়াজাত করে খেলেই আর কোনও সমস্যা হয় না। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? এ সম্পর্কে পরবর্তী আর্টিকেল এ বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করবো ইনশা-আল্লাহ্‌।



দ্বিতীয়ত,
 অভ্যাস ও সহ্যের ব্যাপারে সচেতনতা ঃ

শরীর ও মনের সহ্যের সীমা ছাড়ানোর ফলাফল কিন্তু ভয়াবহ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনার অসুস্থতার মূল কারণ হতে পারে দীর্ঘদিনের কিছু মন্দ অভ্যাস।
অনেক সময় কোনও কিছুর প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে আপনি হয়তো এমন কিছু শুরু করে দেন আর দ্রুত ফলাফলের আসায় মরিয়া হয়ে উঠেন যেন একদিনেই তা হয়ে যাবে।
ফলস্বরূপ শারীরিক, মানসিক বা উভয় প্রকার অত্যাচারের দরুন শরীর অথবা মনও বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে।
এক্ষেত্রে আপনাকে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী আগাতে হবে, যাতে শারীরিক বা মানসিক কোনও সমস্যাও না হয় অর্থাৎ সয়ে যায় আর আপনার সেই উদ্দেশ্যও পূরণ হয়।

সবশেষে,
পর্যাপ্ত বিশ্রাম আর সাথে ঘুম ঃ

আপনি সারাদিন যে পরিমাণ শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করেছেন, এতে সকালবেলা আপনার যে পরিমাণ কর্মক্ষমতা ছিল, এখন আর তা নেই।
শারীরিক ঘাটতি বা ক্ষয় পূরণ ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে মানসিক প্রশান্তির জন্য ঘুমের একটিও বিকল্প নেই। শুধুমাত্র পর্যাপ্ত খাওয়ার মাধ্যমে আপনি শক্তি ধরে রাখতে পারবেন না। আপনি তো জানেন, একটি ডিভাইসে যেমন শক্তি সরবরাহ ছাড়া একটি কাজও করা যায় না। ব্যাটারির চার্জ ফুরালেই সাথে সাথে চার্জ দিতে হয়। তেমনি, দেহের যখন বিশ্রামের প্রয়োজন, তখনও যদি আপনি কাজ চালিয়ে যান এতে হয়তো আপনার প্রাধান্য দেয়া কাজটি হয়ে যাবে,  তবে দিনে দিনে আপনার কর্মক্ষমতা হ্রাস পাবে। অর্থাৎ, আপনি কোনও না কোনও ভাবে অসুস্থ হতে থাকবেন।
যদি ঘুমাতে পারেন, তবে শরিরে শক্তি ফিরে পাবেন। আর ঘুমের সময় মনের ক্লান্তি দূর হবে।

অনেকেরই অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে। এটিও কিন্তু নিজেদের বেপরোয়া জীবনযাপন অথবা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়ার বহিঃপ্রকাশ। আসলে এসকল ক্ষেত্রে ঔষধের কিছু করার নেই। আপনিই পারেন নিজের এই সমস্যার মধ্য হতে বের হতে। এসম্পরকে অন্য একটি লেখা পড়তে ক্লিক করুন   --- > ৬টি কাজে অনিদ্রা বা হালকা ঘুমের সমস্যা সমাধান। insomnia sleeplessness treatment














কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please, do not enter any spam link in the comment box.

Featured Post

৪টি কাজে মন হবে শান্ত, কোনও আসক্তির মাধ্যমে নয়।

আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম করুণায় আপনি সম্পূর্ণ ভালোই আছেন।  আজকের বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক।  আপনি অবশ্যই কোনও না কোনও ডিভাইস যেমন স্মার্ট...

Popular Posts