জোনাকির কিছু প্রজাতি কিভাবে এতো আলো উৎপন্ন করে, তা অনেকদিন যাবত রহস্যের অন্তরালেই ছিলও।
জোনাকি, ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Firefly. সৃষ্টিকর্তা তাদের দেহাভ্যন্তরে এক রাসায়নিক বিক্রিয়ার ব্যবস্থা করেছেন। যার মাধ্যমে তারা নিজ দেহে আলো উৎপন্ন করতে পারে।
মানব আবিষ্কৃত বৈদ্যুতিক বাতি আলোর সাথে তাপ উৎপন্ন করে, যাতে শক্তির অপচয় হয়। কিন্তু, জোনাকির আলো শীতল। তার কারণে শক্তির অপচয় হয় না। ___ এই আশ্চর্য জনক ঘটনা ঘটতেই হবে। কেননা, জোনাকি অন্ধকারে অনবরত যে পরিমাণ আলো উৎপন্ন করতে থাকে, এতে যদি তাপ উৎপন্ন হতো, তবে তার পাছা পুরে ছাই হয়ে যেতো। এতে তার জীবন ধারণ করা সম্ভব হতো না।
জোনাকির দেহের আলো উৎপন্নকারী প্রত্যঙ্গে কিছু রাসায়নিকের উপস্থিতে
যখন অক্সিজেন প্রবেশ করে, তখন আলো জ্বলে উঠে। এই প্রক্রিয়া জোনাকি নিয়ন্ত্রণ করে।
যদিও কীটপতঙ্গের দেহে বাইরে থেকে অক্সিজেন প্রবেশের জন্য কোনও ফুসফুস নেই, তবে তাদের দেহাভ্যন্তরে অক্সিজেন প্রবেশের জন্য অতি সূক্ষ্ম নালী থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দুটি ভিন্ন প্রজাতির মধ্যে, পুরুষ জোনাকির উচ্চ আলো বিচ্ছুরণের সাথে আলোর তীব্রতা, নারী জোনাকিকে অধিক আকৃষ্ট করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please, do not enter any spam link in the comment box.