pages

pages for foreigner

বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০

৪টি কাজে মন হবে শান্ত, কোনও আসক্তির মাধ্যমে নয়।


আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম করুণায় আপনি সম্পূর্ণ ভালোই আছেন। 
আজকের বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক। 

আপনি অবশ্যই কোনও না কোনও ডিভাইস যেমন স্মার্ট ফোন অথবা পার্সোনাল কম্পিউটারের মাধ্যমে এই আর্টিকেলটি পড়ছেন। 

তাহলে, এটা বুঝা আপনার জন্য সহজ যে, আপনার মন এবং মস্তিষ্ক একটি ডিভাইস এর সফটওয়্যার ও প্রসেসর এর মতো কাজ করে। 

মন ও মস্তিষ্ককে যখন সমন্বিত ভাবে সহ্য ও সক্ষমতার বাইরে অস্বাভাবিক কাজ করে যেতে হয়, তখন নতুন একটি বিষয়ের জন্ম হয়। যাকে আমরা "বিরক্তি" বলে থাকি। 


যেমনটা হয় ডিভাইস এর ক্ষেত্রে, যখন প্রসেসর গরম হয়ে যায়, সাথে ডিভাইসটিও। 
ঐ অবস্থায় একে ঠাণ্ডা হতে দিতে হয়, এর লোড কমাতে হয়। ইউজারের সাথে যখন সিস্টেম এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, অর্থাৎ প্রসেসর যখন রেস্পন্স করা বন্ধ করে দেয়, এককথায়, হ্যাং হয়ে যায়, তখন একে কিছু সময়ের জন্য ছেড়ে দিতে হয়, একে নিজের মতো কাজ করে স্বাভাবিক হবার জন্য। ঐ মুহূর্তে যদি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে, আপনি অনবরত আপনার ডিভাইসে কমান্ড দিয়ে যান, তবে সিস্টেম ফেইলাওয়ার আরও জটিল হতে পারে। 





তদ্রুপ, মানুষের মস্তিস্ককেও ঐ মুহূর্তে মিউজিক বা এধরনের বিনোদনমূলক আসক্তির পরিবর্তে নিরবে শান্ত হয়ে ভাবার সুযোগ দিতে হবে। 
কারণ, এটি ভারচুয়াল বিনোদনের সময় নয়। আপনার বিচার -বিশ্লেষণ, শ্রবণশক্তি, প্রতিটি অঙ্গ -প্রত্তঙ্গ এমনিতেই অপব্যবহার হয়ে  আছে। এধরনের বিনোদনের দিকে ধাবিত হলে আপনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চরম অবক্ষয় বা বিধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। আপনাকে বুঝতে হবে, এগুলো অ্যাব্জরব করা / সহ্যের মতো এনার্জি ঐ মুহূর্তে আপনার নেই।   



আপনি যখন যেই পরিবেশ পরিস্থিতিতেই থাকেন না কেনও, মানিসিক পরিচর্যার জন্য আপনার সামনে সবসময় দুটি উপায়ই খোলা থাকে। 

১। প্রথমত, ঐ পরিস্থিতি যখন দূরে যাবার জন্য আপনার সুযোগ বা যথেষ্ট সময় নেই। 

২। আর দ্বিতীয়ত, যখন সময়-সুযোগ দুইটাই শুধুমাত্র আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। 


প্রথম পরিস্থিতিটা যথেষ্ট যন্ত্রণাদায়ক, যখন আপনি চাইলেও এক্ষেত্রে কিছুই করার থাকছে না। তাই, আমি প্রথমে এই পরিস্থিতিতে আপনার করণীয় কি, সে সম্পর্কে বলছি। 



অনেক সময় আপনি একসাথে আর একটানা অনেক কাজ আর টেনশন করে বিরক্ত হয়ে যান। 

এসময় আপনার জন্য যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হোলও সবকিছু বাদ দিয়ে কিছু সময়ের জন্য শান্ত হওয়া। 
তবে খেয়াল রাখতে হবে, শান্ত হওয়ার অর্থ এই নয় যে, আপনাকে শুয়ে পড়তে হবে বা দূরে কোথাও ঘুরতে বের হতে হবে। 

বসে বা দাড়িয়ে যেখানে যেভাবেই আপনার মনকে শান্ত করতে পারেন তা-ই করুন। আপনার দুশ্চিন্তা দূর করতে যে নেশার দারস্থ হতে হবে এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। 


১।  সময় আলাদা করে নিজেকে চিনুনঃ   
     প্রথমে আপনার যা প্রয়োজন তা হোলও সামান্য একটু সময়।      আর সেটা অন্য কারো জন্য নয়। আপনার মনকেই তার মতো করে ভাবতে দেয়ার জন্য, মনের মধ্যে কি চলছে তা খেয়াল করার জন্য সামান্য একটু সময়। 



মনকে শান্ত করার এই পদ্ধতিতে সবচেয়ে বড় বিষয় যেটি, আপনি লক্ষ্য করবেন তা হোলও, নেশাকর আসক্তির পরিবর্তে নির্জনে মনকে স্থির হতে বা ভাবতে দিলে নিজেকে খুব ভালো করে চিনতে পারবেন। আপনার মানসিকতা, পছন্দ, ইচ্ছা- অনিচ্ছা গুলো খুব সহজেই দেখতে পাবেন।  


আপনার সমস্যাটা যেমনি একদিনেই, জটিল হয়ে যায়নি, তেমনি একনিমেসেই সব কিছু বদলে স্বাভাবিক করে ফেলার আশা করাও ঠিক নয়। তবে, বিশ্বাস করুন উপর্যুক্ত অভ্যাসটি অনুসরণ করলে খুব অল্প সময়ের মদ্ধেই আপনি সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে যাবেন। আর স্বাভাবিক হবার চেষ্টার প্রতিটি মুহূর্তে প্রশান্তি অনুভব করবেন। 


২। একটু নিঃস্বার্থ হনঃ 
আপনার আশেপাশে যে আছে, তাকে একটু সময় দিন। সম্ভব হলে কারো উপকার করার চেষ্টা করুন। 

৩। কুরআনের অনুবাদ বুঝুনঃ 
পবিত্র কুরআনের অনুবাদ পড়ুন আর বুঝার চেষ্টা করুন সৃষ্টিকর্তা আপনাকে কি বলছেন। আপনি এটা করলে সৃষ্টিকর্তাকে কিছুটা চিনতে পারবেন, আর অবাক হয়ে যাবেন। 



আপনি যে ধর্ম বিশ্বাসের অনুসারী-ই হন না কেনও এটা আপনার জন্য অনেক উপকারী একটি অভ্যাস হবে এবং বিশ্বাস করুন এর চেয়ে আর অন্য কিছুতে এমন মানসিক প্রশান্তি পাবেন না।  

৪। ওযু ও সিজদাহঃ 
সালাতের সময় হলে ওযু করে নিন। অজুর পর দুশ্চিন্তা অনেক কমে যাবে আর ভালো লাগবে। 

আর সালাতের মধ্যে যখন সিজদায় থাকবেন, তখন নিজেকে অনেক মুক্ত মনে হবে। কারণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি আপনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে জমিনে মাথা নত করেছেন। এ মুহূর্তে আপনার মধ্যে কোনও দাম্ভিকতা নেই, আপনার একমাত্র প্রাধান্যের স্বত্বা আপনার সৃষ্টিকর্তার সাথে আপনি এখন কথা বলছেন। 


এবার সেই দ্বিতীয় পরিস্থিতির কথা স্মরণ করুন, যখন সময় ও সুযোগ দুইটাই আপনার অনুকূলে। 

আপনার ক্ষেত্রে যদি প্রথম পরামর্শ যথেষ্ট ফলদায়ক না হয়, তবে অবশ্যই অল্প হলেও সময় বের করতে হবে, আপনার চলমান কর্ম পরিকল্পনাকে একটু নতুন করে বা অন্য দৃষ্টিতে ভাবার জন্য, অথবা, একটু আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য। 
কেননা, এভাবে বেশি দিন চলতে দিলে মারাত্মক স্বাস্থ্যহানি এর সাথে চূড়ান্ত মানসিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। 

এবার যেহেতু আপনি সামান্য হাওয়া বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখন ভাবনার বিষয়, সেক্ষেত্রে কোথায় যাওয়া যায়? 




এক্ষেত্রে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে, আত্মীয়দের খোজ নেয়া এবং যোগাযোগের পর তাদেরকে সময় দেয়া। এতে আপনারও ভালো লাগবে সম্পর্কও নতুনত্ব পাবে।  





সবশেষে, যারা বিভিন্ন ড্রাগস-এর আসক্তিকে মনের খোরাক হিসেবে বেছে নিয়েছেন, তাদের কাছে আমার ছোট্ট একটি প্রশ্ন, তবে উত্তর টা আমার প্রয়োজন নেই, আপনি নিজেকেই উত্তরটা দিন, আর ভেবে দেখুন সেই উত্তর আসলেই আপানার সন্তোষজনক কি না! 

'ভাবুন, আসক্তি আপনাকে কি শিখিয়েছে?'  



আর এর মাঝে সুস্থতা ও সৌন্দর্য বিষয়ক আর্টিকেল পরিদর্শন করতে চাইলে ক্লিক করুনঃ  < --এখানে -- >


এবার উত্তর টা মিলিয়ে নিনঃ 

'কিভাবে আসক্তির কাছেই ফিরে যেতে হয়।'  

                      ______আসক্তি আপনাকে এটি-ই শিখিয়েছে। 



সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন। 
আর নিজেকে অন্ধভাবে নয়, ভালবাসুন নিজের ভালো দিকগুলোকে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please, do not enter any spam link in the comment box.

Featured Post

৪টি কাজে মন হবে শান্ত, কোনও আসক্তির মাধ্যমে নয়।

আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম করুণায় আপনি সম্পূর্ণ ভালোই আছেন।  আজকের বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক।  আপনি অবশ্যই কোনও না কোনও ডিভাইস যেমন স্মার্ট...

Popular Posts