pages

pages for foreigner

মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০২০

৯ টি উপায়! কিভাবে বুদ্ধিমান বা বিচক্ষণ হবো?

বুদ্ধিমান বা বিচক্ষণ হবার উপায়ঃ 

আমি এতো বোকা কেনও?
কেনও বার বার একই বোকামি করি?

আপনার মনে এরূপ কষ্টদায়ক প্রশ্নের উদয় হয়েছে কি হয়নি, জানা নেই। তবে, আজকের এই লেখনীটি পড়ার পর আপনি হয়তো আপনার অনেক কেনও-এর উত্তর পেয়ে যেতে পারেন। আর আপনার জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন আনতে পারলে, বুদ্ধিমত্তার প্রতিফলন দেখতে পারবেন।






যেনে রাখা জরুরী যে, পৃথিবীতে কোনও মানুষই ভুলের উরধে নয়।



পবিত্র কুরআনের অনুবাদ ঃ

সুচিন্তা শক্তিকে জাগ্রত করতে ও একে সঠিক দিকে প্রবাহিত করতে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যে বার্তা দিয়েছেন, তা বুঝার চেষ্টা করুন।


ক্ষমতার রাজত্তের পরিসীমা বাড়ানঃ 

বিচক্ষণতা বাড়াতে নিজেকে সেই পরিস্থিতিতে বার বার নিয়ে যান, যেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায়, আপনি বিচলিত অথবা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যান। মনে রাখবেন, আজ আপনি যে কাজে পারদর্শী, তা-ও কিন্তু একসময় আপনার কাছে অস্বস্তির বা কঠিন ছিলও। আপনার অস্থির ইচ্ছার কারণেই দিনের পর দিন চেষ্টার মাধ্যমে আপনি কাজটিতে পারদর্শী হয়ে গেছেন।

আপনি কি জানেন, সঠিক ধ্যান(Meditation) কি?

কিছু কিছু প্রচার মাদ্ধমের বদৌলতে আমাদের ধারণাই হয়ে গিয়েছে যে, শ্বাসপ্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দেয়া বা গননা করা, ইত্যাদি বাহ্যিক কার্যকলাপ-ই ধ্যানের অন্তর্ভুক্ত। ___ যা বাস্তব প্রেক্ষাপটে ধ্যানের ধারে কাছেও পরে না।



প্রকৃত ধ্যানের মধ্য দিয়ে গেলে আপনার সময় কিভাবে প্রবাহিত হয়ে যাবে, তা সহজে খেয়াল ও করতে পারবেন না। এ সম্পর্কে অন্য একটি আর্টিকেলে বিস্তারিত জানতে চাইলে ক্লিক করে ঘুরে আসুন ---> মনকে শান্ত করুন, কোনও কিছুর আসক্তি ছাড়াই

পর্যবেক্ষণঃ

প্রতিদিন কিছু সময় এমন পরিস্থিতিতে থাকার চেষ্টা করুন, যেখান থেকে মানুষের কার্যকলাপ সরাসরি প্রত্যক্ষ করা বা বিচার করা যায়। যদিও মানুষ সবসময় একই রকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায় না। যে কারণে মানুষের মানসিকতা সবসময় একই রকম থাকে না। তবুও মানুষের কথা শুনে তার মানসিকতা, চিন্তার ধরণ, পছন্দ, ইচ্ছা-অনিচ্ছা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিতে চিন্তাঃ

ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনা অথবা, চলমান কোনও ঘটনাকে অন্যরা কিভাবে বিচার করেছিল বা করেছে তা বুঝার চেষ্টা করুন।

কল্পনাশক্তিকে যাচাই করে দেখুনঃ 

কোনও একটি ঘটনার সূত্রপাত কোথা থেকে বা কিভাবে হয়েছিলো অর্থাৎ ঘটনা ঘটার পেছনের কারণ এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কি ঘটতে পারে তা নিয়ে ধারণা করতে পারেন। আর সুযোগ হলে অবশ্যই সেই ধারণাকে যাচাই করে দেখুন।
তবে অতিরিক্ত সন্দেহ প্রবণ বা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ হতে যেয়ে বিড়ম্বনায় পরবেন না যেন।



নিজ পছন্দের বাইরে যানঃ

যে কাজগুলো খারাপ নয়, তবে আপনার অপছন্দের সেই কাজগুলো করে দেখে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

নিঃশব্দে মনোযোগের সাথে পড়ুনঃ 

বুদ্ধিমত্তা অর্জন করাই যথেষ্ট নয়। কোথা ও কাজে এর বহিঃপ্রকাশও করতে হবে। বর্তমানে জ্ঞান অর্জন, বিনোদন সহ সর্বক্ষেত্রে ইউটিউব বা এধরণের সহজসাধ্য মাধ্যমে অভ্যস্ত হয়ে পরায়, আমাদের ভাষাগত যোগাযোগের অবনতি হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় সঠিক শব্দটি প্রয়োগ করতে না পারায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভুল্বুঝাবুঝি বা এধরণের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
অথচ, মাঝেমাঝে একটু সময় নিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি পড়লে একদিকে যেমন ভাষাগত যোগাযোগের উন্নতি হবে, তেমনি হবে বিচক্ষণতার উন্নয়নের বহিঃপ্রকাশ।

ভাবনার বিষয় লিখে রাখুনঃ

হঠাৎ নতুন কিছু করার কথা মনে হলে পরবর্তীতে কি মনে এসেছিল তা ভুলে যেতে না চাইলে

লিখে রাখার চেষ্টা করুন নিজের মতো করে।

মত প্রকাশের ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণঃ 

আগে অন্যের সম্পূর্ণ কথা মনোযোগ আর ধৈর্যের সাথে শোনা ও বোঝার চেষ্টা করুন। যখন ব্যক্তিগত অভিমত জানানোর সময় আসে তখন সবার পরে মতামত প্রদানের অভ্যাস করুন। এতে একদিকে যেমন নিজস্ব মতামত প্রকাশের পূর্বেই অন্যদের বিচার-বিবেচনা সম্পর্কে জানা যায়, তেমনি প্রয়োজনে অন্যের মতামতের সাথে তুলনা করে নিজের ভুলও সংশোধন করে নেয়া যায়।

কথাটা শুনতে যতটা সহজ মনে হয়, বাস্তবে করা ততটা সহজ নয়।

হিসাব করুন মনের মদ্ধেইঃ

চেষ্টা করুন ক্যালকুলেটর বা খাতা-কলম ছাড়া হিসেব করতে।

মনে রাখবেন, আপনার মন-মস্তিষ্ককে যতক্ষণ নিয়ম তান্ত্রিক কাজে ব্যাবহার করতে পারবেন, ততোক্ষণই তা সচল ও সতেজ থাকবে। তাই, দেহের মতো মন-মস্তিষ্কের উপরও অলসতা অথবা অতিরিক্ত চাপের কুপ্রভাব রয়েছে।

প্রতিদিনের নির্দিষ্ট কর্মবিরতি ও ঘুমঃ 

একটানা কাজ করতে থাকলে কাজটা কিভাবে অন্য ভাবে করা যায়, তার বুঝ আসে না।
ঘুমের অভাবে সৃতিশক্তি কমতে থাকে, ফলে ভুলে যাবার প্রবণতা দেখা যায়। বিচক্ষণতা কমতে থাকে। কোনও কিছুতে মনোযোগ ধরে রাখা যায় না। এতে বুঝতেই পারছেন, কি ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

খাবারেরও ভূমিকা আছেঃ 

আপনি  হালাল খাবারের মধ্যে যা-ই খান না কেনও, তাতে যেন পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর রক্ত উৎপন্ন হয়। শরীরে প্রবাহিত হওয়ার মতো পরিমিত রক্ত না থাকলে মস্তিষ্কের বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্পর্কিত কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে। এ ধরণের খাবার রক্তনালীতে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহে বাঁধা প্রদান করে।

এবার কয়েকটি ভেষজ ঔষধির কথা বলবোঃ 

তুলসি গাছের পাতাঃ

মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

অশ্বগন্ধাঃ

সৃতিশক্তি বাড়াতে ও মস্তিষ্কের জটিল রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।

হলুদঃ

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

লবঙ্গঃ

মানসিক চাপ( ) কমাতে ও মস্তিষ্কের উন্নতি সাধনে কার্যকর।

দারুচিনিঃ

নার্ভাস সিস্টেমে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ, নিউরলজিক্যাল সমস্যা সমাধানে ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকর।



শেষকথাঃ

মনে রাখবেন, অন্যের কাছে আপনাকে সর্বক্ষেত্রে যথার্থ বিচক্ষণ বা বুদ্ধিমান হিসেবে পরিচিত বা বিবেচিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
অনিচ্ছাকৃত বা নতুন কিছুর প্রত্যাশায় কোনও কোনও সময় আপনার ভুল হয়ে যেতেই পারে। অন্যের ভুল থেকে যেমন আমাদের শিখার আছে, তেমনি নিজের জীবনের ভুল গুলোও সামনের জীবনকে সহজ করে দেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please, do not enter any spam link in the comment box.

Featured Post

৪টি কাজে মন হবে শান্ত, কোনও আসক্তির মাধ্যমে নয়।

আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম করুণায় আপনি সম্পূর্ণ ভালোই আছেন।  আজকের বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক।  আপনি অবশ্যই কোনও না কোনও ডিভাইস যেমন স্মার্ট...

Popular Posts