যারা অনলাইনে কাজ করে আয় করতে চান, আজকের আর্টিকেলে তাদের জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফরমকে কিভাবে আয়ের উৎস হিসেবে কাজে লাগানো যায়, সেই বিষয়ে ধারণা দেয়া হয়েছে।
আপনার যদি মনে করেন, এ বিষয়ে আপনার পরিপূর্ণ ধারণা রয়েছে, তবে এই আর্টিকেলটি পরিহার করতে পারেন।
অনলাইনে কাজ করে আয়ের যতগুলো উপায় রয়েছে, তার মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্নতম।
দেশীও অথবা গ্লোবাল মার্কেটিং সাইট যেকোনো বিজনেস প্ল্যাটফরমেই আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেন না কেনও, এক্ষেত্রে সবার আগে আপনার যা প্রয়োজন হবে, তা হোলও আপনার নিজের একটি সাইট। যেটাকে আপনি আপনার বিজনেসের জন্য ব্যাবহার করতে পারবেন।
আর এই সাইট হতে পারে একটি ওয়েবসাইট, কোনও ব্লগ ( ব্লগস্পট থেকে হোক, ওয়ার্ডপ্রেস থেকে অথবা অন্য যে কোন ভাবেই তৈরি হোক না কেনও ) , কোনও ফেসবুক পেজ, অথবা একটি ইউটিউব চ্যানেল।
যদি আপনার কোনও ওয়েবসাইট না থাকে, তাহলে আপনি নিজের জন্য ব্লগারে একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এ ধরণের সাইট গুলোতে সম্ভাবনা তুলনামূলক ভাবে বেশি।
কিভবে একটি ব্যাক্তিগত ব্লগ তৈরি করতে হয়, তা নিয়ে পরবর্তীতে ধারাবাহিক সিরিজ দেয়া হবে।
আবার ব্লগ তৈরি করলেই কিন্তু তা মার্কেটিঙের কাজের উপযোগী হয়ে যাবে না। ব্লগ এর প্রাণ হোলও কন্টেন্ট। অর্থাৎ, নিয়মিত পাঠকের আগ্রহের বিষয়ে পোস্ট দিতে হবে।
আপনার কাছে যদি, এই বিষয় গুলো অনাগ্রহের বা একটু কঠিন মনে হয়, তবে আপনি ইউটিউব-এ অথবা একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেটাকে মার্কেটিং এর উৎস হিসেবে ব্যাবহার করতে পারেন।
ইউটিউব এ নিজের চ্যানেল তৈরি করে কিভাবে ভিডিও তৈরি করতে হয় আর আপলোড করতে হয়, সে বিষয়ে পরবর্তীতে কার্যকরী আর্টিকেল দেয়া হবে।
আপনার সাইট টি যখন মার্কেটিং এর জন্য উপযুক্ত হবে, তখন আপনি আপনার পছন্দ মতো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ একজন অ্যাফিলিয়েট হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েশন দেয়ার জন্য দেশি বিদেশী অসংখ্য প্রোগ্রাম রয়েছে। যেমন- ক্লিক ব্যাংক, অ্যামাজন, ShareAsale, eBay, envato, বিডিসপ, ইত্যাদি।
তবে, কোনটি আপনার জন্য উপযোগী হবে তা একমাত্র আপনিই বলতে পারবেন। কারণ, আপনি যে বিষয়ে আপনার সাইটে কন্টেন্ট অথবা ভিডিও তৈরি করেবেন, এর ওপর তা নির্ভর করে।
আপনি যেখান থেকেই অ্যাফিলিয়েশন নিতে চান না কেনও আগে সেই প্রোগ্রামের টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস, প্রাইভেসি পলিসি ভালো করে বুঝে নিতে হবে।
অর্থাৎ কি করা যাবে আর কি করা যাবে না, বিজ্ঞাপনের কমিশনের মেয়াদ ( অ্যাড কুকি পলিসি ), ইত্যাদি।
আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরি করবেন। আপনার যদি কোনও বিষয়ে অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান থাকে, তবে সে বিষয়েও কন্টেন্ট তৈরি করে যেতে পারেন। আর যদি ধারণা খুঁজে পান, তবে আমি তো আছি। আর এর মাঝে চাইলে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম গুলোর সাইটে প্রবেশ করে প্রোডাক্ট গুলো দেখতে পারেন। এতেও বুঝতে পারবেন অনলাইনে কোন পণ্য গুলোর ভালো চাহিদা রয়েছে, সেই অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, স্বাস্থ্য ও ফিটনেস, ইলেক্ট্রনিক্স এর বিভিন্ন পণ্য বা গেজেট গুলো যেগুলোর ভালো চাহিদা রয়েছে, সে বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন।
আর যদি, কন্টেন্ট তৈরিকে ঝামেলার মনে হয়, তবে, ফেসবুক পেজে শুধুমাত্র যে প্রোডাক্ট এর প্রোমোশন করাতে চান তাঁর লিঙ্ক এর সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা করে পোস্ট দিলেই হবে।
এক্ষেত্রে আপনার পেজে যথেষ্ট সদস্য থাকতে হবে। তা না হলে মার্কেটিং করা যাবে না।
সব শেষে পেআউট / টাকা উত্তোলনঃ
এতো সব কিছু করলেন শুধুমাত্র যে কারণে, সেই কাঙ্ক্ষিত অর্থ হাতে পাওয়ার জন্য আপনাকে যা কিছু করতে হবেঃ
১। যে প্রোগ্রাম থেকে অ্যাফিলিয়েশন নিতে চান আগে নিশ্চিত হন, সেখান থেকে টাকা ট্র্যান্সফারের উপায় কি? ব্যক্তিগত ব্যাংক-এ ( ডিরেক্ট ডিপোজিট অপশন ) টাকা নেয়া যায় কি না, পেওনিয়ার, বা পেপাল এর মতো গ্লোবাল মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যায় কি না?
২। আপনি যদি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে চান তাঁর জন্য আপনার নিজের পরিচয়ে একটি ব্যাংক Account থাকতে হবে।
৩। পেওনিয়ার দিয়ে টাকা পেতে চাইলে, পেওনিয়ারে Account তৈরি করতে হবে।
পেওনিয়ার-এ মোবাইলে বা পিসিতে অ্যাকাউনট যেভাবে করবেন, জানতে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেনঃ
উপরের পদ্ধতি বা নিয়ম গুলো অনেকটাই পরিবর্তনশীল। অর্থাৎ, আপনি কোথা থেকে Account করবেন, তার ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
আর এই সব কিছুই সম্ভব যদি শেষ পর্যন্ত আপনার কাজের ফলাফলের ওপর ধৈর্য থাকে আর আপনি সঠিক উপায়ে কাজ গুলো করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please, do not enter any spam link in the comment box.