pages

pages for foreigner

শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০

ভয়েজ রেকর্ডিং এর নয়েজ দূর করা সম্পর্কে অজানা তথ্য ......... ।

আপনি যদি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্য এটা বুঝা কঠিন নয় যে, অডিও এর ব্যাকগ্রাউনড নয়েজ কিভাবে একটি ভালো মানের ভিডিওকেও নিম্ন মানের করে দেয়।


আজকের লেখাটি তাদের জন্য, যারা মানুষের কথা সহজেই বিশ্বাস করেন, অথবা যারা নিজে যাচাই না করে অন্যের উপর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে ঠকে যান।











আসলে ইনটেক হোক বা খোলা, প্রায় সব রেকর্ডিং ডিভাইস এই ভয়েজ এর সাথে কম বেশি নয়েজ ক্যাপচার হবেই। 

তাহলে কেনও শুধু শুধু ১৩০০ থেকে ৪০০০ টাকা খরচ করবেন? 

কারো কথায় বিশ্বাস করে ল্যাপটপের জন্য অরিজিনাল বয়া এম এম ১ বা এধরনের মাইক্রোফোন বা  গেমিং হাই কোয়ালিটির মাইক ও নয়েজ কেন্সেলার সহ হেডফোন কিনে নিজের কষ্টের টাকার অপব্যবহার করবেন না। লজিটেকের / এ৪ (ফোর) টেকের / বা এধরনের হেডফোন গুলো ছাড়া অন্য ডিভাইসগুলো আসলে নয়েজ কেন্সেল করতে পারে না। সেটা মাইক্রোফোনের বক্সে লেখা থাকলেও। 
ইউটিউবারেরা এধরনের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যের রিভিউ দেখিয়ে তাদের ভিউ বাড়ায়, আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে বিভিন্ন শোরুম বা কোম্পানি থেকে কমিশন পায়। তাদের ভিডিও দেখে আপনি হয়তো ভাবেন ঐ ভিডিও গুলো তারা ঐ সব ডিভাইস দিয়েই তৈরি করে। কিন্তু অল্প কয়েকজন ছাড়া আসলে তারা ভেতরের বিষয় গুলো কাওকে জানতে দিতে চায় না।

তারা অনেকেই কিন্তু ভিডিও রেকর্ডিং এর নয়েজ কেন্সেলের জন্য বিভিন্ন সফটওয়ার, অ্যাপ ব্যাবহার করে। তাদের কেউ কেউ আবার হাজার টাকা খরচ করে সাউনড প্রুফ রুম তৈরি করে। তাই, তাদের কথায় প্ররোচিত না হয়ে যদি সরাসরি নিজের ডিভাইস নিয়ে গিয়ে চেক করে সন্তুষ্ট হবার পর কিনে আনতে পারেন, তবে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা কম।

বিক্রেতারা কিছু কিছু ডিভাইস ইনটেক বলে খুলে দেখাতে চায় না। যেমন প্রফেশনাল হেডফোন গুলো যেগুলো বিভিন্ন কল সেন্টার বা মিলিটারি ইনভেস্টিগেশনে ব্যবহার হয় এবং দাম প্রায় ৩৫০০-৪০০০ টাকা। 
 সে ক্ষেত্রে ঐ ডিভাইস পূর্বে কেউ ব্যাবহার করেছে, এমন কেউ পরিচিত না থাকলে, না কেনাই ভালো।
কোনও কোনও ক্ষেত্রে ডিভাইস টি দোকানের নিজস্ব পিসি তে চালিয়ে দেখায়, কিন্তু তারা কাস্টমারের ডিভাইসে রান করতে চায় না, এটা তাদের একটি প্রতারনা। কারণ তাদের পিসি তে ঐ ডিভাইসটি ভালো পারফরমেন্স করার মতো সেটআপ দেয়া থাকে মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য।

এতো টাকা দিয়ে ডিভাইস কেনার পর সমস্যা হলে, ওয়ারেনটি থাকা সত্ত্বেও পরিবর্তনের বা সার্ভিসিঙের ক্ষেত্রে হয়রানী হতে হবে আপনাকেই। কারণ, তারা কেউ দায় নিবে না। 


তাহলে কি করবেন? ঃ 

প্রথমত,
আপনি চাইলে নয়েজ কেন্সেলার বা রিডইউসার ব্যাবহার না করেই, শুধু মাত্র আপনার পিসি এর সাউনড কনফিগারেশন পরিবর্তন করেই খুব ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
রেকর্ডিঙের সময়, মাইক্রোফোনের ডেসিবেল লেভেল "জিরো" এর কাছাকাছি রাখার  চেষ্টা করবেন।

দ্বিতীয়ত,
আপনি যদি ল্যাপটপ বা পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবহার করে রেকর্ড করে থাকেন, তবে খেয়াল রাখবেন, আপনার কম্পিউটারটি যেন অতিরিক্ত গরম না হয়। কারণ, প্রসেসরের টেম্পারেচার বেড়ে গেলে, কুলার ( ফ্যান ) অনেক জোরে চলবে। ফলে রেকর্ডিঙের সময় নয়েজ হিসেবে কুলারের শব্দও শোনা যাবে।

1 টি মন্তব্য:

Please, do not enter any spam link in the comment box.

Featured Post

৪টি কাজে মন হবে শান্ত, কোনও আসক্তির মাধ্যমে নয়।

আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম করুণায় আপনি সম্পূর্ণ ভালোই আছেন।  আজকের বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক।  আপনি অবশ্যই কোনও না কোনও ডিভাইস যেমন স্মার্ট...

Popular Posts