pages

pages for foreigner

সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০

অবিশ্বাসী মনের প্রশ্নের জবাব .........।


                                                             

কখনও কি আপনার মনে হয়েছিলো যে, এই মহাবিশ্ব আপনা আপনি-ই চলছে?


আমি জানিনা আপনার কখনও এমনটা মনে হয় কি না, বা এ বিষয়ে কখনও ভেবেছেন কি না। তবে, আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন, যাদের বিশ্বাসটাই এরকম। এটা মূলত অল্প জানার কুফল। তবে ভাববেন না যে, যারা নিজেদের নাস্তিক (সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী নয়) বলে পরিচয় দেয়, শুধু তারাই এরূপ ধারণায় বিশ্বাসী। বরং, এক্ষেত্রে তারা মুনাফেকির পরিচয় না দিয়ে, নিজেদের অবস্থান সুস্পষ্ট ভাবে প্রকাশ করে দিয়েছে।




                                         
তবে আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন, সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে যাদের বিশ্বাস অনেকটা নাস্তিকদের মতোই। অন্তর্যামী নই বলে আমরা সে বিষয়ে জানিনা। এদের অনেকেই অন্য কাওকে ধর্ম বিরোধী কাজে লিপ্ত হতে দেখলেই নিন্দা আর আক্রমণের ঝড় তুলে ফেলে। যেন তখন এরা কট্টর ধার্মিক হয়ে যান !
জন্মগত ভাবে ইসলামকে জীবন বিধান হিসেবে পেলেও, প্রকৃত অর্থে ইসলামকে তারা তাদের অন্তরে প্রবেশ করাতে পারেনি। এর প্রমাণ, দুনিয়ার জীবদ্দশায় নির্ভয়ে একের পর এক অন্যায়ের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া।

পৃথিবীতে সময়সীমা অতিক্রমের পর একদিন সৃষ্টিকর্তার বিচারের সম্মুখীন হতে হবে ___ এই বিশ্বাস তাদের একদমই নেই। আর এ কারণেই, পৃথিবীতে অসীম ভোগের লালসায় তাদেরকে ঘৃণিত অপরাধে জড়াতে দেখা যায়।    সুতরাং, এরাও অঘোষিত নাস্তিক।

আরও এক প্রকারের মানুষ রয়েছে,
যাদের মানসিকতা উপর্যুক্ত দুই দলের থেকে আলাদা। মহাবিশ্বের কোনও সৃষ্টিকর্তা থাকুক বা না-ই থাকুক, এটা তাদের ভাবনার বিষয় নয়।

আজকের আর্টিকেলটি এই ৩ শ্রেণীর মানুষদের জন্য।

সহজেই বোঝার জন্য আমরা বিজ্ঞানের সাথে আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় ঘটাবো। চলুন শুরু করা যাক।


ভৌগলিক বিদ্যার সীমাবদ্ধতাঃ

পাশ্চাত্তের (ইউরোপ, আমেরিকার) কিছু নাস্তিক বিজ্ঞানীরা পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে যেসব প্রচারণা চালায়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা নিতান্তই সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা অসাড় বাক্য।


যেমন- বৃষ্টিপাতের কারণ হিসেবে তারা আবহাওয়া-জলবায়ু , তাপমাত্রা, মৌসুমি বায়ুর পরিবর্তন ইত্যাদিকে বুঝে বা দাবী করতে চায়। যদি এটাই শতভাগ সত্য কারণ হতো, তবে কেনও, কখনও একাধারে কয়েকদিন মুষলধারে বৃষ্টি হয়, আবার কখনও একদিন হয় তো আরেক দিন হয় না? আবার কখনও বৃষ্টির মৌসুমে বৃষ্টি প্রায় হয়ই না, আবার অসময়ে বৃষ্টি হয়। কখনও অল্প বৃষ্টির পরেই ঝলমলে রোদ দেখা যায়।

এসব কিছু তো নির্দিষ্ট সময়ে হওয়ার কথা ছিলও, তবে কখনও নির্দিষ্ট নিয়মে আবার কখনও ব্যতিক্রম কেনও?

ভূমিকম্পের কারণ হিসেবে তারা দাবী করছে ভুস্তরের শিলা বা প্লেটের সরে যাওয়াকে। কথাটি সত্য হলেও প্রশ্ন হোলও, কেনও অনাকঙ্খিত ভাবে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা না হলেও কোনও কোনও স্থানের শিলা স্তর সরে যায় আর ভূমিকম্প অনুভূত হয়?

সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত জ্ঞানের কল্যাণে, তারা পৃথিবীর ব্যাস, পরিধি, বয়স ইত্যাদি নির্ণয় করে ফেলেছে। কিন্তু কেনও তারা ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিতে পারছে না?

এইযে মানুষের জ্ঞানের সীমারেখার নির্ধারিত পরিধি, এটাও কি আপনা আপনি নির্ধারিত? 


চিকিৎসা বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতাঃ 

মানুষ কি জীবন-মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছে? 

সুস্থ মানুষ মারা গেলে, তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসা বিজ্ঞান হার্ট অ্যাটাক কে দায়ী করে থাকে। এ সব-ই একটু গভীর ভাবে খেয়াল করলে হাস্যকর বলেই প্রমাণিত হয়। 

এবার একটু তুলনামূলক বিবেচনা করে দেখা যাক,
দুর্ঘটনায় কারো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কম বেশি খতিগ্রস্থ হলে, সে তাৎক্ষনিকভাবে অথবা কিছু সময় পর মারা যেতে পারে। কেননা, তার পক্ষে সেই ক্ষতিগ্রস্থ অঙ্গ বা দেহ নিয়ে জীবন ধারণ করা সম্ভব হয় না। এটা সহজেই বুঝা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রেও সৃষ্টিকর্তা চাইলে ব্যতিক্রম হওয়াও সম্ভব। 

কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একজন সুস্থ মানুষ যার বেঁচে থাকার জন্য সুস্থ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, জীবনধারণের জন্য পর্যাপ্ত রিজিক সব ই আছে, তবুও সে কেনও মারা যায়? স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুর ক্ষেত্রেও কেনও কোনও নিয়ম নেই? 
কেউ জন্মের পরেই আবার কেউ বিভিন্ন বয়সে মারা যায়। যিনি বারধক্কে উপনীত হয়েছেন, তার তো অঙ্গ প্রতঙ্গ কর্মক্ষমতা হারিয়েছে। তবুও কেনও তিনি শত বছর বেঁচে থাকেন? 
কিভাবে একটি নির্জীব দেহে আত্মা প্রবেসের পর তা সজীবতা লাভ করে?
আবার সেই আত্মাকেই মুক্ত/ বের করা হোলে দেহ নির্জীব হয়ে পরে? 
এসব কার ইচ্ছায়, কার নিয়ন্ত্রণে হচ্ছে? 

আপনা আপনিই তো সব হচ্ছে, তাই না! 

নাস্তিকতার চিকিৎসা বিজ্ঞান এর কি জবাব দিবে? 



মনোবিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতাঃ 

মানুষ আত্মার অস্তিত্ব উপলব্দি করতে পারলেও তা ধরা ছোঁওয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। যিনি একবার চলে যান তিনি কি আর কখনও ফিরে আসতে পারেন? কেনও তার সাথে আর কোনও যোগাযোগ সম্ভব হয় না? 

     


এগুলো কি নীরবে নিদর্শন দিয়ে যাচ্ছে না যে, এসব কিছুর পেছনে অবশ্যই কোনও সার্বভৌম ক্ষমতাবান মহান পরিচালকের ইশারা বা ইচ্ছা রয়েছে? 
এতক্ষণ নিরপেক্ষ ভাবে আপনার চিন্তা শক্তিকে জাগ্রত করতে যে সৃষ্টিকর্তার উপমা দিয়েছি, তিনি আর কেও নন, সর্বশক্তিমান, সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ্‌ রব্বুল আলামিন। 

আল্লাহ্‌ তাআলা মানুষের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন এইভাবে, " হে মুহাম্মদ! লোকে তোমাকে আত্মা সম্পর্কে জিগাসা করে, তুমি বলে দাও, রুহ আমার প্রভুর আদেশ( কাজ) এবং তোমাদেরকে ( এ সম্পর্কে) অতি সামান্য জ্ঞান দেয়া হয়েছে।" (সূরাঃ ১৭, আয়াতঃ ৮৫) 

আল্লাহতাআলার কালামে পাকের মাধ্যমে আমরা যতদূর জানতে পেড়েছি, বিশ্বজগত সৃষ্টিকর্তার মাধ্যমে পরিচালিত হয় দুটি উপায়েঃ


প্রথমত,
 সেই উপায়ে যা সময় দ্বারা নির্ধারিত, এক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তা সবকিছু যেভাবে পরিকল্পনা করে রেখেছেন, সেই ভাবেই চলছে। যেমন- দিন রাত্রির আবর্তন। আর 


দ্বিতীয়ত,
হুকুমের মাধ্যমে, যেখানে কোনও কিছু সময় দ্বারা নির্ধারিত নয়। এক্ষেত্রে যেকোনো ব্যতিক্রম কিছু ঘটা শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। যেমন- আগুনের পুড়ানোর ক্ষমতা হারানো। 


তবে এ বিষয়ে আল্লাহ্‌তাআলাই ভালো জানেন। 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please, do not enter any spam link in the comment box.

Featured Post

৪টি কাজে মন হবে শান্ত, কোনও আসক্তির মাধ্যমে নয়।

আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম করুণায় আপনি সম্পূর্ণ ভালোই আছেন।  আজকের বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক।  আপনি অবশ্যই কোনও না কোনও ডিভাইস যেমন স্মার্ট...

Popular Posts