pages

pages for foreigner

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

Create Ebook on Android or PC and Sell to Earn. মোবাইলে বা পিসি তে ই-বুক তৈরি করে সেল করুন।

ইবুক লিখে আয় / create an ebook and earn money.




লিখতে ভালোলাগে? তবে মোবাইলে বা পিসি তে ই-বুক তৈরি করে সেল করুন। বই মানেই বিশাল কিছু না! আপনি চাইলে ৫ পৃষ্ঠায়ও ইবুক লিখতে পারেন।


আপনার লিখার Creativity ( সৃজনশীলতা ) কেমন, তা আমি জানি না। তবে আমি আপনাকে বলে দিতে পাড়বো, লেখকরা তাদের লেখার শক্তি বা আগ্রহ কোথা থেকে পায়। আর এই লিখাকেই ডিজিটাল কন্টেন্ট হিসেবে কিভাবে সেল করা যায়।
এই লিখাটি মনোযোগের সাথে পড়ার পর আপনি ভালো মানের ইবুক তৈরি করে সেল করা শিখবেন। তাই আমি অনুরধ করছি, ধৈর্যের সাথে শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য।


প্রথম অংশে বলবো,

১।কিভাবে আপনার লিখার অভিজ্ঞতা বাড়াবেন, এর পরের অংশে থাকবে,

২। কোন বিষয়ে লিখবেন? 
(যারা কোন বিষয়ে লিখবেন কোনও আইডিয়া খুঁজে পাচ্ছেন না, তাদের জন্য আমি অসাধারণ কিছু আইডিয়া দিবো ),

৩। কোথায় তৈরি করবেন ইবুক? (হার্ডকপি থেকে সফটকপি)

৪। পেমেনট এর অপশন কিভাবে যুক্ত করবেন?,

৫। কোথায় সেল করবেন, 
( মার্কেট প্লেস তো অনেক, আপনি কোনটি নির্ধারণ করবেন ) ? 

তবে ১, ৩ ও ৫ নম্বর ধাপ শুরুতে এবং ২ ও ৪ নম্বর ধাপ সম্পর্কে আমি সবার শেষে বলবো।  





প্রথম ধাপ টি মনে আছেতো? চলুন যেনে নেই। 


     
                                             

প্রতিটি মানুষেরই মন বলে একটা অদৃশ্য স্বত্বা আছে। মনের মধ্যে সবসময়, আপনার ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়ে কথা চলতেই থাকে । আপনি কখনও খেয়াল করেন, আবার কখনও বা করেন না। লেখকরা বা ডিজিটাল কন্টেন্ট রাইটাররা মূলত তাদের ভেতরে যা চলে, মনের মাঝে যা উদয় হয়, তা-ই ১ টি বিসয়বস্তুর আলোকে লিপিবদ্ধ করেন। 


তাই ১ টি জিবন্ত লেখনী পড়ার সময়, আপনার মনে এর ১ টি সুন্দর দৃশ্যপট তৈরি হয়ে যায়। তাহলে আজ-ই শুরু করুন লেখার অভ্যাস! 


এবার দ্বিতীয় স্টেজ বাদ দিয়ে তৃতীয়

স্টেজ! 

যে অ্যাপ বা সফটওয়্যার ব্যাবহার করে ইবুক তৈরি করবেনঃ 


অ্যানড্রএড মোবাইলে ইবুক তৈরি করতে চাইলে আপনাকে 

১। ক্যানভা গ্রাফিক ডিজাইন আপ,
২। গুগোল ডকস অথবা,
৩। এম এস ওয়ার্ড অ্যাপ ব্যাবহার করতে হবে। 

কারণ এখনও পর্যন্ত এগুলো ছাড়া মোবাইলে রাইটিং এর যেসকল অ্যাপ্লিকেসন আছে, তার অধিকাংশই এদের ধারে কাছেও নেই। হয় সেগুলো শুধু সোসিয়াল মিডিয়ার মতো এক পেজে পোস্ট করার মতো যাতে অন্য কোনও ফিচার নেই ( যেমন রাইটঅন ), অথবা সেগুলোতে শুধু ইবুক রিড করা যায়, এডিটিং করা যায় না। 


Canva ( ক্যানভা )ঃ 


ক্যানভা তে আপনি সবচেয়ে সহজে আর অ্যাট্রাকটিভ ওয়েতে ইবুক তৈরি করতে পারবেন। তবে এখানে একটি সেট এ সরবচ্চ ৩০ টি পেজ অ্যাড করা যায়। অর্থাৎ আপনি যদি ৩০ এর অধিক পেজ যেমন ৫০ পেজ এর একটি ইবুক তৈরি করতে চান, তবে আপনাকে দুই সেট ( ৩০+ ২০ ) ফাইল তৈরি করে পরবর্তীতে মারজ করতে হবে। 


Google Docs ( গুগোল ডকস )ঃ


এতে আপনি অনেক পেজ অ্যাড করতে পারবেন, এম এস ওয়ার্ড এর মতো। এর সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলও, এর ব্যাকআপ। অর্থাৎ, লেখার পর হারানোর বা নষ্ট হবার কোনও ভয় নেই, অটোমেটিক সেভ হয়ে যাবে।

এছাড়া পিসিতে ( পার্সোনাল কম্পিউটারে ) কাজ করতে চাইলে ক্যানভা তে লগ ইন করে অনলাইন এ কাজ করা যায়। তাছারা আপনি চাইলে cotobee author সফটওয়ারটি আপনার পিসিতে ডাউনলোড এর পর ইন্সটল করে কাজ করতে পারেন।

শেষ ধাপ, 

তবে এটা কিন্তু শেষ না। 

কোন মার্কেট প্লেস এ সেল করবেন? 


আমি এখন কয়েকটা অনলাইন কন্টেন্ট ( ডিজিটাল অথবা ফিজিক্যাল) সেলিং প্ল্যাটফরমের বা সাইটের পরিচয় দিবো, আমি জানি আপনাদের অনেকেই হয়তো এদের সাথে পরিচিতঃ 


 ১। Gumroad ( গামরোড ) ঃ


এটা এমন একটা গেটওয়ে যা আপনার অনলাইন লেনদেন এর দুসচিন্তাকে দূর করে। 

এখন আপনার মনে হতেই পারে দুশ্চিন্তা আবার কিসের? 

ধরুন, আপনি যখন একটি ইবুক সেল করার জন্য পাবলিশ করবেন। তখন যদি কারো সেটা কেনার ইচ্ছা জাগে, তবে সে কি করবে? 

তাকে অবশ্যই আপনার ইবুক এর নির্ধারিত মূল্য পরিশোধের জন্য তার ক্রেডিট কার্ড এর গোপন তথ্য গুলো ইনপুট দিতে হবে। এখন আপনি যদি এমন কোনও গেটওয়ে এর সাথে যুক্ত হন, যাকে কাস্টমারদের কাছে সেফ বা নিরাপদ মনে না হয়। সেক্ষেত্রে আপনার ইবুক টি কিনতে চাইলেও তারা কিন্তু না কিনেই চলে যাবে। 
আপনাকে কাস্টমারদের কার্ড ডিটেইল সেফ রাখার পাশাপাশি, অ্যাকাউনটিং, ট্যাক্স, লেনদেনের প্রতারণা ইত্যাদি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।


আবার বাইয়ার তার অ্যামাউনট  পেইড অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথে তা ডেলিভারীও করতে হবে। 


আপনার এইসমস্ত দুশ্চিন্তা নিজের কাধে নিবে গামরোড। তবে আপনাকে আপনার প্রতিটি সেল এর একটা সামান্য অংশ তাদেরকে ( ৮.৫ % + ৩০ সেন্ট ) পেয় করতে হবে। ৩০ সেন্ট এ হয়, বাংলাদেশি ৩ টাকা ৬ পয়সা। 


আপনার জন্য তারা একটা সেলিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে এতো কিছু করবে আর আপনি কি সেটা ফ্রি আশা করতে পারেন? আপনার ইবুক এর মূল্য যদি হয় ১০ ডলার, তবে বিক্রির পর এখান থেকে আপনি পাবেন ৯ দশমিক ১০৮ ডলার। এজন্যই আমি এটাকে সবার প্রথমে রেখেছি।

এর পর আপনি চাইলে আরও কয়েকটি সাইট  দেখতে পারেন। যেমনঃ 


2. payhip

3. selz.com
4. fiverr.com ( এখানে প্রতিটি সেলে আপনাকে ১৮% কমিশন দিতে হবে। )
5, blurb.com
6. google play
7. e-junkie.com


চতুর্থ ধাপ, 


পেমেন্ট এর অপশন যেভাবে যুক্ত করবেনঃ


আপনার তৈরি করা এই ইবুক যা আপনি সেল করতে চান, তার বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য ( অর্থাৎ, অ্যাডভারটাইজমেনট প্রমোটিং এর জন্য ) যেমন একটি প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন। তেমনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রেতা যখন আকৃষ্ট হবে, তখন টাকা লেনদেনের জন্যও একটা মাধ্যম বা গেটওয়ে প্রয়োজন। 

আপনার যদি এই ইবুক সেলিং এর জন্য কোনও ওয়েবসাইট বা ব্লগ না থাকে, তবে আপনার ইবুক রিলেটেড ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ তৈরি করে পর্যাপ্ত মেম্বার অ্যাড করে সেখানেও সেল করতে পারবেন। 

আমি দুটো পদ্ধতিই নিচের ভিডিওতে দেখিয়েছি।







কোন বিষয়ে লিখবেন?ঃ 


সত্যি কথা হলও, লেখার মতো বিষয়ের অভাব নেই। যদি কোনও একটি বিষয়ে আপনার বিশেষ অভিজ্ঞতা অথবা ধারণা থাকে, আর আপনি যদি সে বিষয়ে কাজ করতে চান তবে আপনার রাতের ঘুম উধাও হয়ে যাবে।
শুধু লেখা নয়, যে কোনও ধরণের কন্টেন্ট তৈরি করতে চাইলে সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন যেসব টপিক রয়েছে। আমি সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ক্যাটাগরির ধারণা দিচ্ছিঃ

1. Self-improvement
2. Money making ( how to make)
3. Guiding ( training on any topics like 18 important rules for raising children healthy & smart )
4. Technology
5. Mistery
6. Comic ( প্রহসন, কৌতুক )
7. Adventure ( ভ্রমণ )
8. Exercise
9, Q & A ( FAQ- one question's answer. can be one chapter ), etc.


তবে খেয়াল রাখবেন, যেকোনও ক্যাটাগরি নিয়েই কাজ করেন না কেনও, তা যেনও আপনার আগ্রহের বা সাচ্ছন্দের বাইরে না যায়। অর্থাৎ, যেই বিষয়ে কাজ করতে আপনার ভালো লাগেনা, শুধুমাত্র হিউজ মার্কেট পাবার আশায় সে বিষয়ে কাজ শুরু করা ঠিক হবে না।

আরেকটি কথা,
আপনার ইবুক এর ল্যাঙ্গুয়েজ কিন্তু খুব-ই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি এটা নিজের জন্য নয়, সেল করার জন্য তৈরি করবেন। সাধারণত আমরা স্বজাতীয় ভাষার ইবুক টাকা দিয়ে কিনে পড়তে আগ্রহী নই। আর আপনি অবশ্যই আপনার কাস্টমার এর পরিধি বাড়াতে চান। তাই না? 
এজন্য আপনার ইংরেজিতে কন্টেন্ট লিখা প্রয়োজন। আমি জানি না, ইংরেজিতে আপনার দক্ষতা কেমন। তবে আশাহত হবার কোনও কারণ নেই। আমি আপনাকে এমন একটি ইংলিশ গ্রামার এন্ড স্পেল কারেকশন অ্যাপ এর কথা বলবো, যেটা ব্যাবহার করে আপনি অনায়াসেই বাংলা থেকে ইংলিশ ট্রান্সলেট করতে পারবেন। 

প্রথমত যদি মোবাইলে ট্রান্সলেট করতে চান, তবে Bengali English Translator: BN-EN  বা এই রিলেটেড অ্যাপ ব্যাবহার করতে পারেন। এর পর আপনার ট্রান্সলেট করা স্ক্রিপ্ট এর স্পেল, পাঙ্কচুএসন গ্রামাতিকেল ইরর এর অটোম্যাটিক কারেকশন বা সাজেশন পেতে Grammarly Keyboard অ্যাপ টি ব্যাবহার করতে পারেন।



এধরণের আরও বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ 




- >  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, যা প্রয়োজন, যেভাবে শুরু করবেন।


- >  অনলাইনে কাজ করে আয় করুন, শুধু ধৈর্য আর অদম্য চেষ্টার মাধ্যমে Online earning knowledge




শেষ কথা হোলও, 

আপনি যদি এখনি কাজ শুরু না করেন, তবে আপনার এই সময়টুকু কোনও কাজে আসবে না। তাই অবশ্যই আপনার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে আমাকে কমেন্টে জানাবেন। 

আর, 

আপনি এই কন্টেন্ট টি পড়ছেন, অর্থাৎ আপনি ইতোমধ্যেই অনলাইনে আরনিঙ্গের কাজ করছেন অথবা কাজ করতে আগ্রহী। 

সুতরাং, আপনার অনেকদিনের পুরনো কোনও প্রশ্নের উত্তর বা পরিবর্তী  সময়ের কোনও সমস্যার সমাধান পেতে এই ব্লগের Follow Us option-এর Facebook Page-এ লাইক দিয়ে যুক্ত হন। সম্ভবত অনেক সমস্যার সমাধান বা সন্তোষ জনক কিছু পেয়ে যাবেন। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please, do not enter any spam link in the comment box.

Featured Post

৪টি কাজে মন হবে শান্ত, কোনও আসক্তির মাধ্যমে নয়।

আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম করুণায় আপনি সম্পূর্ণ ভালোই আছেন।  আজকের বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক।  আপনি অবশ্যই কোনও না কোনও ডিভাইস যেমন স্মার্ট...

Popular Posts